Thursday, August 2, 2012



মনিরামপুরে গ্রীষ্মকালীন টমেটো নতুন দুয়ার উন্মোচন করেছে

লেখক: মণিরামপুর  বৃহস্পতিবার, ২ অগাষ্টu-এ ২০১২, ১৮ শ্রাবণ ১৪১৯
Details
যশোরের মনিরামপুরে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাষকৃত উফশী জাতের বারী-৪ গ্রীষ্মকালীন টমেটো বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখানকার আবহাওয়া ও জলবায়ু টমেটো চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী হওয়ায় সবজি চাষে সফলতার নতুন দুয়ার উন্মোচন করেছে। সে কারণেই রমজান মাসকে টার্গেট করে টমেটো চাষ শুরু করে এখানকার চাষিরা।
শীতকালীন সবজি হিসেবে টমেটো উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে চাষাবাদ হয়ে থাকে। আর সালাদ ও রকমারি খাবারের রসনা মেটাতে টমেটোর অভাব গ্রীষ্মকালে তীব্র হয়। তবে সে অভাব দূর করছে মনিরামপুরে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ। গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ শুরু হয়েছে গত কয়েক বছর ধরে। কৃষি অফিসের তথ্যানুযায়ী উপজেলার কাশিপুর, শ্যামকুড়, চণ্ডিপুর গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর চাষ হয়েছে, যা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন এ ফসলের চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে।
এসব জমিতে উফশী জাতের বারী-৪ গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ হচ্ছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বীজ বপন করা হয়। ২০ দিন বয়সের চারাগাছ উঠিয়ে তৈরিকৃত অপেক্ষাকৃত উঁচু সমতল জমিতে লাগানো হয়। চারাগাছ লাগানোর ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে টমেটো গাছে ফল আসা শুরু করে। সফল চাষি আজিজুর রহমানের সঠিক পরিচর্যায় গ্রীষ্মকালীন টমেটো গাছে ফল আসতে শুরু করেছে। ৫ শতক জমিতে টমেটো চাষ করেছেন তিনি। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তার মোট খরচ হবে ২০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে তিনি প্রায় ৪ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছেন। ওই জমি থেকে প্রায় ৬০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

No comments:

Post a Comment