Sunday, July 15, 2012



কলারোয়া প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় অতিবর্ষণে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষি মাঠ পানিতে ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা তাদের গরু-ছাগল মাঠে নিয়ে যেতে পারছেন না। এতে করে কৃষকরা তাদের গরু-ছাগল গোয়ালে রেখেই খাওয়াতে হচ্ছে। কৃষি মাঠ ডুবে যাওয়ায় মাঠ থেকে গো-খাদ্যে সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। নির্ভর করতে হচ্ছে বাজারের বিক্রি হওয়া বিচালীর ওপর। বর্ষায় গো-খাদ্যের চাহিদা বেশি হওয়ায় বিচালী বিক্রেতারা এ সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে বাজারে ১০০ টাকার পনের আটি বিচালী ৩৫২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ৪ আটি বিচলী ২২০ টাকা দাম হয়েছে। চড়া দামে বিচালী কিনে চাষিরা তাদের গরু পালন করতে হিমশিম খাচ্ছে। এক্ষেত্রে দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ পড়েছে আরো বিপাকে। কলারোয়া উপজেলার শুভঙ্করকাটি গ্রামের মাসুদ হোসেন গত শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, তিনি বাপ-দাদার ঐতিহ্য বজায় রাখতে বাড়িতে দুটি গরু পালন করে আসছেন। তিনি বাড়ির পাশের মাঠ থেকে প্রতিদিন ঘাস কেটে এনে গরুকে খাওয়াতেন। বর্ষণের ফলে মাঠ ডুবে যাওয়ায় তিনি আর মাঠে যেতে পারছে না। যদিও ক্ষেতের আইল জেগে আছে তারপরও মাঝারি বর্ষণে সাপের ভয়ে তিনি ঘাস কাটতে যেতে সাহস পাচ্ছেন না মাঠে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা স্বপন কুমার জানান, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ৫৭ হাজার ৩১৮টি ছাগল, ৭৭ হাজার ৭৪টি গরু ও ২৫টি ভেড়া আছে। বর্তমানে বিচালীর অভাবে গরু-ছাগল-ভেড়াগুলো কঙ্কাল হয়ে পড়ছে বলে তার কাছে প্রায় সংবাদ আসছে। এই সুযোগে এক শ্রেণীর ব্যক্তিরা পানির দরে গরু-ছাগল-ভেড়া কিনছে বলে জানা গেছে।

No comments:

Post a Comment