২০১১-১২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্র আয় করেছে ২১ লাখ ৫২ হাজার ২১৩ টাকা। উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ইকরামূল হক বলেন খামারের আবাদি জমির পরিমান ৭.২৮ একর। গত অর্থ বছরে আয় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ লাখ টাকা। এর বিপরীতে খামার থেকে অতিরিক্ত আয় হয়েছে ৫২ হাজার ২১৩ টাকা। খামারে আয় খাতের মধ্যে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে আয় হয়েছে ২৩ হাজার টাকা। শীতকালীন সবজি চাষে আয় হয়েছে ৪২ হাজার টাকা। নারকেল চারা থেকে আয় হয়েছে ৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা। সবজি ও মসলা চারা উৎপাদন থেকে আয় হয়েছে ৫২ হাজার টাকা। ফলজ চারা উৎপাদন খাতে আয় হয়েছে ১ লাখ টাকা। ফুলের চারা উৎপাদন খাতে আয় হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। ঔষধি চারা উৎপাদন খাতে আয় হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। অন্যান্য চারা থেকে আয় ২৩ হাজার টাকা। ফলের গুটি কলম চারা থেকে আয় ৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। ফুল অর্কেড কলম থেকে আয় ৫০ হাজার টাকা। সবজি ও অন্যান্য বীজ উৎপাদন খাতে আয় ৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা। ফল উৎপাদন খাতে আয় ২২ হাজার টাকা। বিবিধ খাতে আয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। গত অর্থ বছরে খামারে সর্বাধিক আয় হয়েছে হাইব্রিড টমেটো বীজ উৎপাদন থেকে। উপ-পরিচালক জানান, ৭৫ শতক জমিতে টমেটো চাষ হয়। বীজ উৎপাদন হয়েছে ১৬ কেজি ১০ গ্রাম। এ থেকে আয় হয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৩৪৫ টাকা। এছাড়া বেগুনের বীজ উৎপাদন খাতে ২৫ শতক জমিতে ১৭ কেজি বীজ উৎপাদন হয়েছে। এ থেকে আয় হয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। চলতি ২০১২-১৩ অর্থ বছরে আয় লক্ষ্যমাত্যা ধরা হয়েছে ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে শীতকালীন সবজি চাষে ৫০ হাজার টাকা, গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে আয় ৪৫ হাজার টাকা, সবজি ও মসলা চাষে আয় ৩০ হাজার টাকা, ফলজ চারা উৎপাদনে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ফুলের চারা উৎপাদন থেকে ৩০ হাজার টাকা, ঔষধী বৃক্ষ উৎপাদনে ১০ হাজার টাকা, নারকেল চারা উৎপাদন থেকে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, বনজ চারা উৎপাদন খাতে ১৫ হাজার টাকা, পলজ গুটি কলম বৃক্ষ চারা উৎপাদন খাতে ৩ লাখ টাকা, ফুল অর্কিড চারা উৎপাদনে ৫৫ হাজার টাকা, সবজি ও অন্যান্য খাতে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা, ফল উৎপাদন খাতে ২৫ হাজার টাকা, এবং অন্যান্য খাতে আয় লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। উদ্যানের উপ-পরিচালক জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment