পুকুরে ইলিশ চাষ নিয়ে সন্ধিহান গবেষকরা

চাঁদপুর প্রতিনিধি
দুবছর পরও চাঁদপুরে পুকুরে ইলিশ চাষের গবেষণার সফলতা নিয়ে সন্ধিহান ইলিশ গবেষকরা। তবে গ্রোথ কম হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে পুকুরে ইলিশ চাষ কখনোই সম্ভব হয়ে উঠবে না বলে আশঙ্কা খোদ গবেষকদের। কিন্তু তারা আরো ১ বছর গবেষণার পর পুকুরে ইলিশ চাষ সম্ভব কতটুকু তা সাফ জানিয়ে দিবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে ৩টি পুকুরের মধ্যে ২টি পুকুরে কোনো ইলিশ এখন নেই বলে একটি সূত্রের দাবি। শুধুমাত্র একটি পুকুরে ইলিশ চাষ হলেও তীব্র গরমের কারণে ওই পুকুরের অর্ধশত ইলিশ ইতিমধ্যে মরে গেছে বলে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা জানিয়েছেন। মরে যাওয়া ইলিশগুলোর মধ্যে কিছু ইলিশ ফরমালিন দিয়ে ইনস্টিটিউটের ল্যাবরেটরিতে রাখা হয়েছে। এরমধ্যে অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পুকুরে ইলিশ চাষ গবেষণার ব্যর্থতার ২২ বছর পর ২০১০ সালের ১৩ মে নতুনভাবে পুকুরে পোনা ছেড়ে ইলিশ চাষ গবেষণায় আবারো নামেন মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্র চাঁদপুরের বিশেষজ্ঞরা। যদিও তারা এই গবেষণা ১ জুলাই ২০১০ থেকে কাগজে কলমে শুরু দেখিয়েছেন। প্রথম পর্যায়ে নদী কেন্দ্রের ৩টি পুকুরে মেঘনা নদী থেকে ইলিশের পোনা ৬/১০ গ্রামের ৯০০ জাটকা ছাড়া হয়। এসব পুকুরের মধ্যে ৬০০ ফুট গভীরতার পুকুরে ৩০০ জাটকা, ৮০০ ফুট গভীরতার পুকুরে ৩০০ জাটকা এবং ১০ ফুট গভীরতার পুকুরে ৩০০ জাটকা ছাড়া হয়েছে বলে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশেজ্ঞরা জানিয়েছেন।
তবে একটি সূত্র জানায়, নদী থেকে বার বার পোনা সংগ্রহ করে পুকুরে ছাড়লেও বাঁচানো খুব কঠিন হয়ে পড়তো। ১ম দুটি পুকুরের গভীরতার কম হওয়ায় ইলিশের জাটকা কোনোভাবেই বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে ওই সূত্রের দাবি। তবে ১০ ফুট গভীরতার পুকুরে ছাড়া জাটকার গ্রোথ গত ২ বছরে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রামের হলেও পানির গভীরতা ও স্রোত ধারা না থাকায় এসব ইলিশের গ্রোথ দিন দিন কমতে থাকে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। তবে এসব ইলিশেও ডিম আসে পরিপক্ক না হতেই। এক কথায় ১ বছরে নদীতে যে ইলিশ পরিপক্ক হয় আর সেই ইলিশ পুকুরে ৩ বছরে পরিপক্ক হয়ে উঠতে পারে না। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্রের চাঁদপুরের ইলিশ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জাহেদ ও ইলিশ বিশেষজ্ঞ ড. মো. আনিছুর রহমান জানান, পুকুরে ইলিশ চাষ খুবই ব্যয় বহুল হবে। কারণ ইলিশের পোনা সংগ্রহ করে তা পুকুরে এনে ছাড়া খুবই দুঃসাধ্য ব্যাপার। এটা শুধু সম্ভব নদীর তীরের পুকুরগুলোত চাষ করা তবে সেখানে স্রোত ধারা বা লবণাক্ত পানির সংস্পর্শ থাকতে হবে। এছাড়াও পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ চাষ করা সম্ভব হবে না। তবে আমরা আরো এক বছর পরীক্ষার পর পুকুরে ইলিশ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হবে বলে তারা জানান।
তবে একটি সূত্র জানায়, নদী থেকে বার বার পোনা সংগ্রহ করে পুকুরে ছাড়লেও বাঁচানো খুব কঠিন হয়ে পড়তো। ১ম দুটি পুকুরের গভীরতার কম হওয়ায় ইলিশের জাটকা কোনোভাবেই বাঁচানো সম্ভব হয়নি বলে ওই সূত্রের দাবি। তবে ১০ ফুট গভীরতার পুকুরে ছাড়া জাটকার গ্রোথ গত ২ বছরে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রামের হলেও পানির গভীরতা ও স্রোত ধারা না থাকায় এসব ইলিশের গ্রোথ দিন দিন কমতে থাকে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। তবে এসব ইলিশেও ডিম আসে পরিপক্ক না হতেই। এক কথায় ১ বছরে নদীতে যে ইলিশ পরিপক্ক হয় আর সেই ইলিশ পুকুরে ৩ বছরে পরিপক্ক হয়ে উঠতে পারে না। মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট নদী কেন্দ্রের চাঁদপুরের ইলিশ সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জাহেদ ও ইলিশ বিশেষজ্ঞ ড. মো. আনিছুর রহমান জানান, পুকুরে ইলিশ চাষ খুবই ব্যয় বহুল হবে। কারণ ইলিশের পোনা সংগ্রহ করে তা পুকুরে এনে ছাড়া খুবই দুঃসাধ্য ব্যাপার। এটা শুধু সম্ভব নদীর তীরের পুকুরগুলোত চাষ করা তবে সেখানে স্রোত ধারা বা লবণাক্ত পানির সংস্পর্শ থাকতে হবে। এছাড়াও পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ চাষ করা সম্ভব হবে না। তবে আমরা আরো এক বছর পরীক্ষার পর পুকুরে ইলিশ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হবে বলে তারা জানান।
No comments:
Post a Comment