গ্রামজুড়ে পেয়ারা রাজ্য
বাগান এলাকাজুড়ে পাকা পেয়ারার মৌ মৌ গন্ধ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
বাংলার আপেল খ্যাত পেয়ারার ভর মৌসুম শুরু। ঝালকাঠি-বরিশাল-পিরোজপুর জেলার ৩০টি গ্রামজুড়ে প্রায় ৩১ হাজার একর জমির ওপর গড়ে উঠেছে পেয়ারার রাজ্য। তাই দক্ষিণাঞ্চলের হাটবাজার আর বাগান এলাকাজুড়ে পাকা পেয়ারার মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। পাইকার এবং পেয়ারা চাষিদের বেচাকেনার ধুম চলছে পেয়ারার মোকামগুলোতে।
এশিয়ার বিখ্যাত এ পেয়ারাকে স্থানীয় ভাষায় গৈয়া কিংবা সবরী বলা হয়। তবে জাতীয়ভাবে এটি পেয়ারা নামে পরিচিত। আর পুষ্টিমানের দিক থেকে একটি পেয়ারা ৪টি আপেলের সমতুল্য বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন। তাই পেয়ারাকে ভালোবেসে 'বাংলার আপেল' আবার কেউ 'গরিবের আপেল' হিসেবে গণ্য করে।
আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্রের অর্ধেক এই আড়াই মাস জমে ওঠে পেয়ারা বেচাকেনা। পেয়ারা চাষ ও ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এসব এলাকায় গড়ে উঠেছে ২০টিরও বেশি ছোট বড় ব্যবসা কেন্দ্র। স্থানীয়ভাবে বলা হয় পেয়ারার মোকাম। এ মোকামগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সরূপকাঠির আটগড়, কুড়িয়ানা, ভিমরুলী, ডুমুরিয়া, শতদশকাঠি, বাউকাঠি। প্রতিদিন সকালে এসব মোকামে চাষিরা ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় সরাসরি বাগান থেকে পেয়ারা নিয়ে আসে পাইকারদের কাছে। তা কিনে ট্রলারযোগে নৌপথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ বছর ফাল্গুনে পেয়ারা গাছে ফুল ধরার পর অতিরিক্ত খড়ায় পানির অভাব দেখা দেওয়ায় ফুল ঝড়ার পাশাপাশি অনেক গাছও মারা যায়। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে পেয়ারা চাষিরা গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সার এবং মাটি দিতে পারেনি। কিন্তু তারপরেও এবার পেয়ারর ভালো ফলন হয়েছে। কেটে গেছে চাষিদের দুশ্চিন্তা।
ঝালকাঠির কাঁচাবালিয়া গ্রামের পেয়ারা চাষি জাহিদ মিয়া বলেন, আমাদের ভাগ্য ভালো খড়ার কারণে ফলন ভালো না হওয়ার ভয় ছিল। উপরওয়ালা সহায় থাকায় পেয়ারার ফলন এবার ভালোই হয়েছে। এবার মৌসুমের শুরুতেই ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে প্রতি মণ পেয়ারা ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে পেয়ারা উৎপাদিত এসব এলাকার চাষিদের একমাত্র সমস্যা হিমাগার ও সড়ক পথে যোগাযোগের ব্যবস্থা না থাকা।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠির জগদীশপুর গ্রামের পেয়ারা চাষি বিমল মিস্ত্রি জানান, প্রতিবছর হিমাগারের অভাবে এসব এলাকার কয়েক কোটি টাকার পেয়ারা নষ্ট হয়ে যায়। কারণ পেয়ারা পচনশীল ফল। তাই দ্রুত পেকে যাওয়ায় তা সংরক্ষণ করে রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। পাশাপাশি পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও বরিশালের উৎপাদিত পেয়ারা সড়ক পথে নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি। পেয়ারা চাষিরা জানিয়েছেন, এ অঞ্চলের সঙ্গে সড়ক পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে পেয়ারা দ্রুত বাজারজাত করা যেত। তাই বিশেষ করে ঝালকাঠির শতাদশকাঠিতে নির্মাণাধীন ব্রিজটির কাজ দ্রুত শেষ করা উচিত বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। প্রায় ৫ বছর ধরে এ ব্রিজের কাজ সামান্য করে ফেলে রাখা হয়েছে। ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে পেয়ারা চাষিদের বাগান থেকে সরাসরি ট্রাকযোগে প্রতিবছর মৌসুমের শুরুতেই ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পেয়ারা পেঁৗছে দেওয়া এবং পচন রোধ করা সম্ভব হত।
আড়তদার লিটন হালদার বলেন, ভিমরুলী দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পেয়ারার মোকাম। মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মণ পেয়ারা বিক্রি হয়। তবে বাউকাঠি থেকে ভিমরুলী হয়ে কীর্তিপাশা পর্যন্ত সড়ক পথ হলে দ্রুত প্রতিদিনের পেয়ারা প্রতিদিন বিভিন্ন জেলায় পেঁৗছানো সম্ভব হতো। ভিমরুলী মোকাম থেকে নৌপথে খুলনা, ফেনী, ঢাকা, সিলেট, পটুয়াখালী, ভোলা, মাদারীপুর, নাটোর, বরিশাল হাজার হাজার মণ পেয়ারা যাচ্ছে। কিন্তু সড়ক পথের যোগাযোগ থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে এসব জেলায় পেয়ারা নেওয়ার জন্য পাইকাররা চাষিদের আরো বেশি দাম দিয়ে পেয়ারা কিনত।
এশিয়ার বিখ্যাত এ পেয়ারাকে স্থানীয় ভাষায় গৈয়া কিংবা সবরী বলা হয়। তবে জাতীয়ভাবে এটি পেয়ারা নামে পরিচিত। আর পুষ্টিমানের দিক থেকে একটি পেয়ারা ৪টি আপেলের সমতুল্য বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিয়েছেন। তাই পেয়ারাকে ভালোবেসে 'বাংলার আপেল' আবার কেউ 'গরিবের আপেল' হিসেবে গণ্য করে।
আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্রের অর্ধেক এই আড়াই মাস জমে ওঠে পেয়ারা বেচাকেনা। পেয়ারা চাষ ও ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এসব এলাকায় গড়ে উঠেছে ২০টিরও বেশি ছোট বড় ব্যবসা কেন্দ্র। স্থানীয়ভাবে বলা হয় পেয়ারার মোকাম। এ মোকামগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সরূপকাঠির আটগড়, কুড়িয়ানা, ভিমরুলী, ডুমুরিয়া, শতদশকাঠি, বাউকাঠি। প্রতিদিন সকালে এসব মোকামে চাষিরা ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় সরাসরি বাগান থেকে পেয়ারা নিয়ে আসে পাইকারদের কাছে। তা কিনে ট্রলারযোগে নৌপথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ বছর ফাল্গুনে পেয়ারা গাছে ফুল ধরার পর অতিরিক্ত খড়ায় পানির অভাব দেখা দেওয়ায় ফুল ঝড়ার পাশাপাশি অনেক গাছও মারা যায়। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে পেয়ারা চাষিরা গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত সার এবং মাটি দিতে পারেনি। কিন্তু তারপরেও এবার পেয়ারর ভালো ফলন হয়েছে। কেটে গেছে চাষিদের দুশ্চিন্তা।
ঝালকাঠির কাঁচাবালিয়া গ্রামের পেয়ারা চাষি জাহিদ মিয়া বলেন, আমাদের ভাগ্য ভালো খড়ার কারণে ফলন ভালো না হওয়ার ভয় ছিল। উপরওয়ালা সহায় থাকায় পেয়ারার ফলন এবার ভালোই হয়েছে। এবার মৌসুমের শুরুতেই ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে প্রতি মণ পেয়ারা ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে পেয়ারা উৎপাদিত এসব এলাকার চাষিদের একমাত্র সমস্যা হিমাগার ও সড়ক পথে যোগাযোগের ব্যবস্থা না থাকা।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠির জগদীশপুর গ্রামের পেয়ারা চাষি বিমল মিস্ত্রি জানান, প্রতিবছর হিমাগারের অভাবে এসব এলাকার কয়েক কোটি টাকার পেয়ারা নষ্ট হয়ে যায়। কারণ পেয়ারা পচনশীল ফল। তাই দ্রুত পেকে যাওয়ায় তা সংরক্ষণ করে রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। পাশাপাশি পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও বরিশালের উৎপাদিত পেয়ারা সড়ক পথে নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা আজ পর্যন্ত গড়ে ওঠেনি। পেয়ারা চাষিরা জানিয়েছেন, এ অঞ্চলের সঙ্গে সড়ক পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে পেয়ারা দ্রুত বাজারজাত করা যেত। তাই বিশেষ করে ঝালকাঠির শতাদশকাঠিতে নির্মাণাধীন ব্রিজটির কাজ দ্রুত শেষ করা উচিত বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। প্রায় ৫ বছর ধরে এ ব্রিজের কাজ সামান্য করে ফেলে রাখা হয়েছে। ব্রিজটি নির্মাণ করা হলে পেয়ারা চাষিদের বাগান থেকে সরাসরি ট্রাকযোগে প্রতিবছর মৌসুমের শুরুতেই ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পেয়ারা পেঁৗছে দেওয়া এবং পচন রোধ করা সম্ভব হত।
আড়তদার লিটন হালদার বলেন, ভিমরুলী দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পেয়ারার মোকাম। মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মণ পেয়ারা বিক্রি হয়। তবে বাউকাঠি থেকে ভিমরুলী হয়ে কীর্তিপাশা পর্যন্ত সড়ক পথ হলে দ্রুত প্রতিদিনের পেয়ারা প্রতিদিন বিভিন্ন জেলায় পেঁৗছানো সম্ভব হতো। ভিমরুলী মোকাম থেকে নৌপথে খুলনা, ফেনী, ঢাকা, সিলেট, পটুয়াখালী, ভোলা, মাদারীপুর, নাটোর, বরিশাল হাজার হাজার মণ পেয়ারা যাচ্ছে। কিন্তু সড়ক পথের যোগাযোগ থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে এসব জেলায় পেয়ারা নেওয়ার জন্য পাইকাররা চাষিদের আরো বেশি দাম দিয়ে পেয়ারা কিনত।
No comments:
Post a Comment