Saturday, July 21, 2012


জলাবদ্ধতা-উদাসীন ইউপি চেয়ারম্যান

বটতৈল-টাকিমারা বিলের মাঠে ৫০ হেক্টর জমির আমন চাষ বিঘ্নিত

এস কে বাশার \ জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ ব্যহত হচ্ছে বলে দাবি করেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বটতৈল, ভাদালিয়াপাড়া, টাকিমারা, বড়িয়ার কৃষকরা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ধর্ণা দিয়েও সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ কৃষকদের। কৃষকরা জানান, প্রতি বছরেই ওই বিলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিগত বছরে বৃষ্টি মৌসুমের শুরুতেই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হলেও এবার তার ব্যাতিক্রম ঘটেছে। উপরন্তু চেয়ারম্যানের কাছে সহযোগীতা চেয়েও কাজ হয়নি। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বটতৈল-টাকিমারা বিলের মাঠে যেয়ে দেখা গেছে চারিদিকে ফসল ঘেরা প্রায় ২০০ হেক্টর প্রশসত্ম মাঠ। চারি দিকে ফসল থাকলেও বিলের মাঝখানে ঢেউ খেলছে আষাঢ়ের পানি। টাকিমারার কৃষক ছানোয়ার হোসেন বলেন, বিলের তলায় তার ২ বিঘা আমনের জমি রয়েছে। চারার বয়স হয়েছে এখনও জমি চাষ দিতে পারছেন না পানি বেশি থাকায়। একই এলাকার সাইদুল ইসলাম বলেন, চারার বয়স ১০ দিন বেশি হয়েছে। কিন্তু তার দেড় বিঘা জমি ২ ফুট পানির নেচে থাকায় চারা রোপণ করতে পারছেন না। টাকিমারার মোফাজ্জেল হোসেন, বটতৈল টাকিমারার আব্দুর রহমান, ভাদালিয়া পাড়ার আবুল কাশেম, বটতৈল ভাদালিয়া পাড়ার হাবিল শেখও একই অভিযোগ করেছেন। কৃষকরা বলেন, বিলের পানি নিস্কাশনের জন্য ক্যানাল রয়েছে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে কচুরিপানায় ক্যানাল ভরাট হয়েছে। যার ফলে পানি নিস্কাশিত না হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। তারা বটতৈল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলুর কাছে পানি নিস্কাশনের মৌখিক আবেদন নিয়ে গেলে তিনি বলেন, ‘‘বাজেট নাই টাকা পাবো কোথায়’’? বাজেট আসলে তার পরে কাজ হবে। স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোল্লা হাফিজুর রহমান বলেন, প্রতি বছর বর্ষার আগে থেকেই নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান নিষ্কাশন ক্যানেলটি নিজ উদ্যোগেই সংস্কার করে দিতেন। এ জন্য এখনও তিনি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেননি। পানি নিস্কাশিত না হওয়ায় তিনি নিজেও চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। বটতৈল-টাকিমারা বিলের পানি নিস্কাশন ক্যানেলটি সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে কিনা এব্যাপারে জানতে চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলুর ব্যাবহৃত ০১৭৩৪০১৮৭৯২ নং মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি উদাসীন ভঙ্গিতে বলেন, ‘‘কৃষকরা যোগাযোগ করছিল, তাদের জানা দিছি, পরে সংস্কার করে দেবো’’। গতকাল বিকেলে যখন এই ফোনালাপ তখন তিনি বলেন ‘‘এখন পুকুর পাড়ে বইসে হাওয়া খাচ্ছি, বাজেট পালিই কাজ কইরে দেবোনে’’। বৃষ্টির পানিতে যখন হাবুডুবু খাচ্ছে ফসলের ক্ষেত। কৃষকের বীজতলার চারা নষ্ট হবার উপক্রম। তখন বটতৈল ইউপি চেয়ারম্যান কবির ভঙ্গিতে দখিনা হাওয়ায় মন ভাসিয়েছেন। কৃষকরা জানান, তাদের সমস্যা জানার পর চেয়ারম্যান অমত্মত একবার এলাকায় এসে তাদের দিকে আমত্মরীকতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারত।

No comments:

Post a Comment