Sunday, July 29, 2012


মনিরামপুরে শসা’র বাম্পার ফলন

লেখক: মনিরামপুর (যশোর) সংবাদদাতা  |  রবিবার, ২৯ জুলাই ২০১২, ১৪ শ্রাবণ ১৪১৯
Details
লাভ বেশি হওয়ায় শসা চাষের দিকে ঝুঁকছে মনিরামপুরের চাষীরা। উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের মাঠের পর মাঠ শসা ক্ষেতে পরিণত হয়েছে। চাষীদের পরিচর্যায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে।
শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ শসা চাষের সাথে জড়িত। এ এলাকার জলবায়ু, মাটি, পানি এ জাতীয় সবজি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এখানে দেশি ও হাইব্রিড জাতের দু’প্রকার শসা চাষ হয়ে থাকে। চাষীরা জানান, হাইব্রিড জাতের শসাটি বীজ বপনের পর ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে গাছে ফল আসে। বছরের জ্যৈষ্ঠ মাস থেকে এর আবাদ শুরু হয়। হাইব্রিড জাতের শসা ভাদ্র মাস পর্যন্ত এবং দেশি জাতের শসা আশ্বিন মাসের শেষ পর্যন্ত ফল দেয়। অপেক্ষাকৃত দেশি জাতের ধরন কম কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ফল তোলা যায়। অপরদিকে হাইব্রিড জাতের শসা ফলন বেশি কিন্তু মাত্র ২ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত ফল দেয়। তবে এ এলাকায় হাইব্রিড জাতের শসার বেশি চাষ হয়ে থাকে। দামের দিক দিয়ে দেশিটি ও হাইব্রীড একই হলেও ওজনে দেশী জাতের শসা কম লাগে। প্রতি মণ শসা সাড়ে ৫’শ থেকে ৭’শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের ডাঙ্গির মাঠটি শসার মাঠ হিসেবে পরিচিত। এ মাঠের একটুকুও জমি খালি নেই। শুধু শসার ক্ষেত। সরেজমিন প্রান্তিক চাষী আলমগীর হোসেন (৩০) জানান, চলতি মৌসুমে নিজের এবং অন্যের জমি লীজ নিয়ে গত জ্যৈষ্ঠ মাসে ইউনাইটেড সীডস’র হাইব্রিড জাতের শসার আবাদ করেছি। জমি লীজ ছাড়া বিঘা প্রতি মোট খরচ হবে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত বিঘা প্রতি ৬০ হাজার টাকার শসা বিক্রি হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত তা লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি।
শামকুড় গ্রামের আশেপাশের পানিছত্র, ঘিবা, লাউড়িসহ কয়েকটি গ্রামেও শসা চাষ শুরু হয়েছে। শ্যামকুড় গ্রামের কামরুজ্জামান, নাজমুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, রবিউল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান, নওয়াব আলীসহ শসা চাষীরা জানান, ফসল তুলে তা স্থানীয় মনিরামপুর, কেশবপুর, নওয়াপাড়াসহ যশোরের বিভিন্ন পাইকারী বাজারে বিক্রি করে থাকেন। আবার অনেক চাষী ক্ষেত থেকেই পাইকারী ব্যাপারীর কাছে বিক্রি করে থাকেন। মূলত এখানকার উত্পাদিত শসা খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।

No comments:

Post a Comment