ভাসমান সবজি বীজতলা

* ভাসমান সবজি বীজতলা তৈরির নিয়ম
* প্রাপ্তিস্থান
* কোন কোন সবজি চাষ করা যায়
* উপকারিতা
* সচরাচর জিজ্ঞাসা
ভাসমান সবজি বীজতলা তৈরির নিয়ম
১. প্রথমে কচুরিপানা, টোপাপানা, ক্ষুদে পানা ইত্যাদি দিয়ে ৩/৪ হাত চওড়া এবং ১২০-১৩০ হাত লম্বা একটি ধাপ তৈরি করতে হবে।
২. প্রতিটি টোপাপানা বা ক্ষুদে পানার মধ্যে সবজি বীজের (যেমন লাউ, কুমড়া , বেগুন বা টমেটো) ২/৩ টি করে দুলালী লতা দিয়ে বেঁধে তোলা বা বীজাধার তৈরি করতে হবে।
৩. অঙ্কুরিত বীজ ভাসমান সবজি বীজতলায় বসাতে হবে।
৪. ধাপে বাঁধাকপি, ফুলকপি ও ওলকপি ফলানোর জন্য কচুরিপানার উপরে টোপা পানা দিতে হবে।
৫. টোপাপানার উপরে নারিকেলের ছোবড়ার গুঁড়া বিছিয়ে দিয়ে বাঁধাকপি, ওলকপি বা ফুলকপির বীজ বুনতে হয়।
৬. এভাবে মাটির ব্যবহার ছাড়া চারা তৈরি ও ফসল ফলানো সম্ভব।
প্রাপ্তিস্থান
কচুরিপানা, টোপাপানা, ক্ষুদেপানা ইত্যাদি বিল অঞ্চলে বেশি পাওয়া যায়। যেসব অঞ্চলে কচুরিপানা কম পাওয়া যায়, যেমন গোপালগঞ্জ, বরিশাল, সেসব স্থানে কচুরিপানার সাথে খড়কুটা, ধানের নাড়া ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়।
কোন কোন সবজি চাষ করা যায়
লাউ, কুমড়া, বেগুন টমেটো, শশা, ফুলকপি,বাঁধাকপি, ওলকপি, ঢেঁড়স এমনকি হলুদও ভাসমান পদ্ধতিতে চাষ করা যায়।
উপকারিতা
১. যেসব এলাকা অধিকাংশ সময় পানিতে ডুবে থাকে সেসব এলাকায় এ পদ্ধতি ব্যবহারে খুব উপকার পাওয়া যায়।
২. এ প্রক্রিয়ায় তৈরি ভাসমান ধাপ ২/৩ মৌসুম অথবা ১/২বছরের জন্যও ব্যবহার করা যায়।
৩. চাষাবাদ হয়ে গেলে এই ধাপ শুকনা মৌসুমে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৪. বোরো ধানের জমিতে এবং কান্দি বেড়ে এই ধাপ কম্পোস্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৫. চাষ শেষে একেকটা ধাপ আকার ভেদে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়।
৬. নীচু এলাকার পতিত জমিতে এ পদ্ধতিতে চাষ করে কৃষকেরা বাড়তি উপার্জন করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment