চিতলমারীতে উৎপাদন মূল্যও পাচ্ছেন না সবজি চাষিরা

এস এস সাগর, চিতলমারী
বাগেরহাটের চিতলমারীর চাষিরা সবজি চাষে অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়েছেন। এ বছর উপজেলায় বিভিন্ন প্রকার তরকারির বাম্পার ফলন হয়েছে। ঢাকা, খুলনা, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের চাহিদা মেটায় এ অঞ্চলের সবজি চাষিরা। কিন্তু কৃষকেরা নায্যমূল্য না পাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছে। কৃষি সংশিষ্ট অভিজ্ঞমহল জানিয়েছেন বর্তমানে চাষিরা ফসলের উৎপাদন খরচই ঘরে তুলতে পারছে না। সিডর ও আইলা পরবর্তীতে এ অঞ্চলের চাষিরা দেনায় দেনায় জর্জারিত। তাই অবিলম্বে সরকারি পদক্ষেপ বা সঠিক ভাবে বাজার মনিটরিং না করলে কৃষকরা সবজি চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতর জানায়, চলতি মৌসুমে চিতলমারীতে ১৪৫ হেক্টর জমিতে করলা, ৮৫ হেক্টরে শসা, ঢেঁড়শ ৫ হেক্টের, চাল কুমড়া ১৫ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ১০ হেক্টর, বেগুন ২৫ হেক্টর, বরবটি ৫ হেক্টর, লাউ ৫ হেক্টর এবং ৫ হেক্টর জমিতে পুঁইশাকের চাষ হয়েছে। তবে বেসরকারি পরিসংখানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কৃষক সবজি চাষ করেছে। উপজেলার খাশেরহাট, শ্রীরামপুর, বাখেরগঞ্জ, কুরমনি, সুরশাইল, শৈলদাহ, কালিগঞ্জ, হিজলা নালুয়া, বড়বাড়িয়া ও ডুমুরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ঘেরের ওপর তরকারি যেন উপচে পড়ছে। প্রতিদিনই এসব প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ট্রাক ভরে তরকারি কিনতে যাচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় ফড়িয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের কারনে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা কৃষকেরা। অন্যদিকে ফড়িয়াদের নির্যাতন তো রয়েছে। উপজেলা সদরের বিভিন্ন সবজির গালা (আড়ৎ) ঘুরে জানা গেছে, প্রতি মন করল্লা ২০০-৩০০ টাকা, শসা ২৫০-৩২০ টাকা, বরবটি, ৫০০ টাকা, পুঁইশাক ১২০ টাকা, বেগুন ৫০০-৭০০ টাকা, কুশি ৪০০-৫০০ টাকা এবং ঝিঙ্গা ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে বেশির ভাগ ফড়িয়া ও দালালরা জোর করেই চাষিদের সবজির দাম কম দিয়েছে বলে রাশমহন ম-ল, সদাই ম-ল, অবনী বাড়ইসহ অসংখ্য চাষি অভিযোগ করেন।
খড়মখালী গ্রামের সবজি চাষি আলমগীর তরফদার, কৃষক সুধাংশু ম-ল, দেবেন ম-ল, কুড়ালতলার অনাদী বিশ্বাস, পাটরপাড়ার মুজিবর বিশ্বাস, দড়িউমাজুড়ি গ্রামের সুধান্ন ঘরামীসহ অসংখ্য চাষি অভিন্ন সুরে জানান, স্থানীয় ফড়িয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে রেহাই এবং উৎপাদিত ফসলের বাজারজাতকরণের পরিধি বাড়িয়ে ন্যায্যমূল্য পেলে এ অঞ্চলের চাষিদের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে পারে। তা নাহলে কৃষকেরা সবজি চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতর জানায়, চলতি মৌসুমে চিতলমারীতে ১৪৫ হেক্টর জমিতে করলা, ৮৫ হেক্টরে শসা, ঢেঁড়শ ৫ হেক্টের, চাল কুমড়া ১৫ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ১০ হেক্টর, বেগুন ২৫ হেক্টর, বরবটি ৫ হেক্টর, লাউ ৫ হেক্টর এবং ৫ হেক্টর জমিতে পুঁইশাকের চাষ হয়েছে। তবে বেসরকারি পরিসংখানে প্রায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার কৃষক সবজি চাষ করেছে। উপজেলার খাশেরহাট, শ্রীরামপুর, বাখেরগঞ্জ, কুরমনি, সুরশাইল, শৈলদাহ, কালিগঞ্জ, হিজলা নালুয়া, বড়বাড়িয়া ও ডুমুরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ঘেরের ওপর তরকারি যেন উপচে পড়ছে। প্রতিদিনই এসব প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ট্রাক ভরে তরকারি কিনতে যাচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় ফড়িয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের কারনে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা কৃষকেরা। অন্যদিকে ফড়িয়াদের নির্যাতন তো রয়েছে। উপজেলা সদরের বিভিন্ন সবজির গালা (আড়ৎ) ঘুরে জানা গেছে, প্রতি মন করল্লা ২০০-৩০০ টাকা, শসা ২৫০-৩২০ টাকা, বরবটি, ৫০০ টাকা, পুঁইশাক ১২০ টাকা, বেগুন ৫০০-৭০০ টাকা, কুশি ৪০০-৫০০ টাকা এবং ঝিঙ্গা ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তবে বেশির ভাগ ফড়িয়া ও দালালরা জোর করেই চাষিদের সবজির দাম কম দিয়েছে বলে রাশমহন ম-ল, সদাই ম-ল, অবনী বাড়ইসহ অসংখ্য চাষি অভিযোগ করেন।
খড়মখালী গ্রামের সবজি চাষি আলমগীর তরফদার, কৃষক সুধাংশু ম-ল, দেবেন ম-ল, কুড়ালতলার অনাদী বিশ্বাস, পাটরপাড়ার মুজিবর বিশ্বাস, দড়িউমাজুড়ি গ্রামের সুধান্ন ঘরামীসহ অসংখ্য চাষি অভিন্ন সুরে জানান, স্থানীয় ফড়িয়া ও মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে রেহাই এবং উৎপাদিত ফসলের বাজারজাতকরণের পরিধি বাড়িয়ে ন্যায্যমূল্য পেলে এ অঞ্চলের চাষিদের ভাগ্যের পরিবর্তন হতে পারে। তা নাহলে কৃষকেরা সবজি চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
No comments:
Post a Comment