পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম দাম নিয়ে সংশয়

আবদুল্লাহ আল মারুফ, পাংশা
চলতি মৌসুমে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম হয়েছে। তবে বাজার দর নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন পাট চাষিরা। এবারের মৌসুমে পাট মন্ত্রণালয় থেকে কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশকসহ নানা সহযোগিতা প্রদান করলেও বাজার দর নিয়ে উৎকণ্ঠা কাটছে না পাট চাষিদের। সম্প্রতি উপজেলার প্রায় সব এলাকায়ই পাট কাটা শুরু হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পাংশা উপজেলায় ব্যাপক হারে পাট চাষ হয়েছে। এবারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৮ হাজার হেক্টর। তবে এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে পাট চাষ হয়েছে ১০ হাজার ২২০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও গত বছরের তুলনায় চলতি বছর পাট চাষ কিছুটা কম হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। গত বছর এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ১১ হাজার হেক্টর।
উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মর্কর্তা আজিম-উল-ইসলাম বলেন, পাংশা উপজেলায় চলতি মৌসুমে সোনালি অাঁশ পাটের উৎপাদন বাড়াতে পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত সার, বীজ, কীটনাশকসহ নানা সহযোগিতা প্রদান চাষিদের অনেকটাই উদ্বুদ্ধ করেছে। উফশী পাট ও পাট বীজ উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর, বাহাদুরপুর, মৌরাট, শরিষা ও বাবুপাড়াসহ ৫টি ইউনিয়নের ২০০ করে ১ হাজার পাট চাষিকে বিনামূল্যে সার ও কীটনাশক প্রদান করা হয়েছে। এদের প্রত্যেককে ১২ কেজি ইউরিয়া, ৫ কেজি পটাশ, ৫ কেজি টিএসপি এবং বোতল করে কীটনাশক প্রদান করা হয়। এ ছাড়া মৌসুমের শুরুতে এসব চাষিকে মাথাপিছু ২.৩ কেজি পাট বীজ প্রদান করা হয়েছিল।
পাট চাষি জয়নাল বিশ্বাস, আনছার আলী, মনছুর শেখ, শহিদ শেখ জানান, সম্প্রতি কিছু পাট কেটে বাজারে বিক্রি করেছেন তারা। বর্তমানে পাটের বাজার দর ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা। তবে তারা আশঙ্কা করছেন বাজারে পাট আমদানি বেড়ে গেলে দাম কমে যেতে পারে। এতে কৃষক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পাটের বর্তমান বাজার ধরে রাখা গেলে হয়তো গত বছর পাট চাষ করে কৃষক যে লোকসানের সম্মুখীন হয়েছিলেন এবার পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। তারা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে জোর দাবি জানান, সিন্ডিকেট তৈরি করে কোনো অপশক্তি যাতে পাটের বর্তমান বাজারে ধস নামাতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিম আহম্মেদ জানান, গত বছর পাটের বাজার দর কিছুটা কম হলেও পাটকাঠির ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক এবারো পাট চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। তবে খাল, বিল, ডোবা, নালাসহ ছোট ছোট পুকুর ভরাট হয়ে যাওয়া ও নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় চাষিরা পাট পচানোর জায়গা না পাওয়ায় পাট চাষে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এ ছাড়া বেশির ভাগ জলাশয় মাছ চাষের আওতায় চলে আসায় দিনের পর দিন পাট চাষে নিরুৎসাহিত হচ্ছে কৃষকন। পাটের বাজার দর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে পাটের আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। আশা করছি চলতি বছর তারা পাট এবং পাটকাঠি বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
এদিকে চাটমোহর প্রতিনিধি জাাঙ্গীর আলম জানান, পাটকে সোনালি অাঁশ বলা হলেও পাটের সোনালি দিন নেই বললেই চলে। এমনটাই মনে করছেন পাবনার চাটমোহরের পাট চাষিরা। তবুও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং ন্যায্যমূল্য পাওয়ার আশায় পাটের চাষাবাদ করেছেন। কয়েক সপ্তাহ হল চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু চাষিদের মুখে হাসি নেই। কারণ ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। চলতি বছর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে পাটের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। তবে বন্যার কারণে নিম্নাঞ্চলের ১ হাজার হেক্টর জমির পাট তলিয়ে গেছে। চাটমোহর উপজেলার নতুনবাজার, রেলবাজার, মূলগ্রাম, মথুরাপুর, মির্জাপুর, পার্শ্বাডাঙ্গা, হরিপুরহাটসহ বিভিন্ন হাটে গত এক সপ্তাহ ধরে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে।
চাটমোহরের বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, ভালোমানের পাট মণ প্রতি ২ হাজার টাকা ও নিম্নমানের পাট ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে চাষিরা সংশয় প্রকাশ করছেন। বর্তমান বাজারে পাটের যে দাম রয়েছে তা যদি মৌসুমের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকে তা হলে চাষিদের কোনো কষ্ট থাকবে না। কিন্তু গত বছরের মতো এ বছরো মাঝ পথে এসে পাটের বাজারে দরপতন ঘটতে পারে বলে চাষিদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চাটমোহর অমৃতকু-া (রেলবাজার) হাটে পাট বিক্রি করতে আসা পাট চাষি মাহাতাব ম-ল ও সেকেন্দার মোল্লা বলেন, এ বছরের প্রথমেই পাটের যে দাম পাচ্ছি তা নিয়ে আমরা খুশি। তবে গত বছরের মতো পাটের বাজার দরপতন হওয়া নিয়েও আমরা চিন্তিত। বিশিষ্ট ঠিকাদার ও পাট ব্যবসায়ী আলহাজ মো. আবদুল কুদ্দুস সরকার বলেন, ??প্রথম দিকেই পাটের মিলগুলো থেকে যে দাম পাচ্ছি সে দাম দিয়েই পাট কেনায় চাষিরা সন্তুষ্ট। তবে পরে মিলগুলো থেকে পাটের মূল্য কমিয়ে দিলে আমাদের কিছু করার থাকে না।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রওশন আলম জানান, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ পাট চাষাবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। তিনি আরো বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পাটের দামও বেশি। পাটজাত পণ্যের কারখানার সংখ্যা এবং রফতানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা এখন অন্য ফসলের তুলনায় পাট চাষে বেশি উৎসাহিত হচ্ছেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পাংশা উপজেলায় ব্যাপক হারে পাট চাষ হয়েছে। এবারের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৮ হাজার হেক্টর। তবে এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে পাট চাষ হয়েছে ১০ হাজার ২২০ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেলেও গত বছরের তুলনায় চলতি বছর পাট চাষ কিছুটা কম হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে। গত বছর এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ১১ হাজার হেক্টর।
উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মর্কর্তা আজিম-উল-ইসলাম বলেন, পাংশা উপজেলায় চলতি মৌসুমে সোনালি অাঁশ পাটের উৎপাদন বাড়াতে পাট মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত সার, বীজ, কীটনাশকসহ নানা সহযোগিতা প্রদান চাষিদের অনেকটাই উদ্বুদ্ধ করেছে। উফশী পাট ও পাট বীজ উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর, বাহাদুরপুর, মৌরাট, শরিষা ও বাবুপাড়াসহ ৫টি ইউনিয়নের ২০০ করে ১ হাজার পাট চাষিকে বিনামূল্যে সার ও কীটনাশক প্রদান করা হয়েছে। এদের প্রত্যেককে ১২ কেজি ইউরিয়া, ৫ কেজি পটাশ, ৫ কেজি টিএসপি এবং বোতল করে কীটনাশক প্রদান করা হয়। এ ছাড়া মৌসুমের শুরুতে এসব চাষিকে মাথাপিছু ২.৩ কেজি পাট বীজ প্রদান করা হয়েছিল।
পাট চাষি জয়নাল বিশ্বাস, আনছার আলী, মনছুর শেখ, শহিদ শেখ জানান, সম্প্রতি কিছু পাট কেটে বাজারে বিক্রি করেছেন তারা। বর্তমানে পাটের বাজার দর ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা। তবে তারা আশঙ্কা করছেন বাজারে পাট আমদানি বেড়ে গেলে দাম কমে যেতে পারে। এতে কৃষক চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পাটের বর্তমান বাজার ধরে রাখা গেলে হয়তো গত বছর পাট চাষ করে কৃষক যে লোকসানের সম্মুখীন হয়েছিলেন এবার পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। তারা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে জোর দাবি জানান, সিন্ডিকেট তৈরি করে কোনো অপশক্তি যাতে পাটের বর্তমান বাজারে ধস নামাতে না পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিম আহম্মেদ জানান, গত বছর পাটের বাজার দর কিছুটা কম হলেও পাটকাঠির ভালো দাম পাওয়ায় কৃষক এবারো পাট চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। তবে খাল, বিল, ডোবা, নালাসহ ছোট ছোট পুকুর ভরাট হয়ে যাওয়া ও নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় চাষিরা পাট পচানোর জায়গা না পাওয়ায় পাট চাষে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এ ছাড়া বেশির ভাগ জলাশয় মাছ চাষের আওতায় চলে আসায় দিনের পর দিন পাট চাষে নিরুৎসাহিত হচ্ছে কৃষকন। পাটের বাজার দর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে পাটের আশানুরূপ দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। আশা করছি চলতি বছর তারা পাট এবং পাটকাঠি বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।
এদিকে চাটমোহর প্রতিনিধি জাাঙ্গীর আলম জানান, পাটকে সোনালি অাঁশ বলা হলেও পাটের সোনালি দিন নেই বললেই চলে। এমনটাই মনে করছেন পাবনার চাটমোহরের পাট চাষিরা। তবুও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবং ন্যায্যমূল্য পাওয়ার আশায় পাটের চাষাবাদ করেছেন। কয়েক সপ্তাহ হল চাটমোহর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু চাষিদের মুখে হাসি নেই। কারণ ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। চলতি বছর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে পাটের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। তবে বন্যার কারণে নিম্নাঞ্চলের ১ হাজার হেক্টর জমির পাট তলিয়ে গেছে। চাটমোহর উপজেলার নতুনবাজার, রেলবাজার, মূলগ্রাম, মথুরাপুর, মির্জাপুর, পার্শ্বাডাঙ্গা, হরিপুরহাটসহ বিভিন্ন হাটে গত এক সপ্তাহ ধরে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে।
চাটমোহরের বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, ভালোমানের পাট মণ প্রতি ২ হাজার টাকা ও নিম্নমানের পাট ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে চাষিরা সংশয় প্রকাশ করছেন। বর্তমান বাজারে পাটের যে দাম রয়েছে তা যদি মৌসুমের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকে তা হলে চাষিদের কোনো কষ্ট থাকবে না। কিন্তু গত বছরের মতো এ বছরো মাঝ পথে এসে পাটের বাজারে দরপতন ঘটতে পারে বলে চাষিদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
চাটমোহর অমৃতকু-া (রেলবাজার) হাটে পাট বিক্রি করতে আসা পাট চাষি মাহাতাব ম-ল ও সেকেন্দার মোল্লা বলেন, এ বছরের প্রথমেই পাটের যে দাম পাচ্ছি তা নিয়ে আমরা খুশি। তবে গত বছরের মতো পাটের বাজার দরপতন হওয়া নিয়েও আমরা চিন্তিত। বিশিষ্ট ঠিকাদার ও পাট ব্যবসায়ী আলহাজ মো. আবদুল কুদ্দুস সরকার বলেন, ??প্রথম দিকেই পাটের মিলগুলো থেকে যে দাম পাচ্ছি সে দাম দিয়েই পাট কেনায় চাষিরা সন্তুষ্ট। তবে পরে মিলগুলো থেকে পাটের মূল্য কমিয়ে দিলে আমাদের কিছু করার থাকে না।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রওশন আলম জানান, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ পাট চাষাবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। তিনি আরো বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পাটের দামও বেশি। পাটজাত পণ্যের কারখানার সংখ্যা এবং রফতানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা এখন অন্য ফসলের তুলনায় পাট চাষে বেশি উৎসাহিত হচ্ছেন।
No comments:
Post a Comment