পাবনা ও সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলে ৫৩ হাজার টন বাদাম উৎপন্ন
শফিউল আযম বেড়া (পাবনা)
পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে এ বছর বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলা দু’টির পদ্মা ও যমুনা নদীর বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে পলিযুক্ত মাটিতে ৩০ হাজার একর জমিতে প্রায় ৫৩ হাজার মেট্রিক টন বাদাম উৎপন্ন হয়েছে।
চলতি মওসুমে দুই জেলার চরাঞ্চলের প্রায় ৩৫ হাজার চাষি বাদাম চাষ করেছেন। পদ্মা ও যমুনা নদীরভাঙনে জেলা দু’টোর বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করে আসছিল। চরে বাদামচাষ করে হাজার হাজার পরিবারে এখন পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে।
পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বাদাম মওসুমে পাবনা জেলার চরপেঁচাকোলা, চরআড়ালিয়া, সাঁড়াশিয়া, চরসাফুলা, চরনাগদা, চরঢালা, চরকল্যাণপুর, পূর্বশ্রীকণ্ঠদিয়া, পদ্মারচর, বাইরচর, শ্রীপুর, খিদ্রদাশুরিয়া, মুরাদপুর, বরাংগাল, ঘোড়জান এবং সিরাজগঞ্জ জেলার মেঘাইরচর, খাসকাউলিয়া, মিনারদিয়াচর, ওমরপুরচর, পয়লারচর, বানতিয়ারচর, মীরকুটিয়ারচর, রস্তুমেরচর, সোলজানারচর, দইকান্দিরচর, চরআগবাঙলা, শিমুলকান্দি, বারোপাখিয়ারচর, ধীতপুর, কুশিরচর, ভুমোরিয়া, চাঁমতারা, শিংঘুলি, নয়াহাটাবরংগাইল, ভারদিঘুলিয়া, চরবলরামপুর, চরভাড়ারা, সাদিপুর, সুদিরাজপুর, আশুতোষপুর, কোমরপুর, বীরপুর, পীরপুর, চালাকপাড়া, হঠাৎপাড়ারচরসহ ছোট-বড় ১৫০টি চরের প্রায় ৩০ হাজার একর জমিতে বাদাম চাষ হয়। উৎপাদনের ল্যমাত্র ধরা হয় সাড়ে ৫২ হাজার মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ল্যমাত্রার চেয়ে এ বছর প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন বাদাম বেশি উৎপাদন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বেড়ার নাকালিয়া ও নগরবাড়ীতে চরাঞ্চলের বাদামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বাদাম বিক্রির পাইকারি মোকাম এবং বাদাম কারখানা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাদাম ব্যবসায়ীরা বাদাম কেনার জন্য নাকালিয়া ও নগরবাড়ী মোকামে আসেন। বাদাম কেনাবেচার জন্য মোকাম দু’টিতে ২০-২২টি আড়ত গড়ে উঠেছে।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার মিনারদিয়া চরের কৃষক আহেদ আলী প্রামাণিক জানান, তিনি এ বছর দুই একর (ছয় বিঘা) জমিতে বাদাম আবাদ করেছিলেন। বীজ রোপণের পর বৃষ্টি হওয়ায় এ বছর বাদামের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। ছয় বিঘা জমির বাদাম তুলে পাওয়া গেছে ১৩০ মণ, রোদে শুকানোর পর তিনি পেয়েছেন মোট ৮৬ মণ। তিনি প্রতিমণ বাদাম ২৪০০ টাকা হিসেবে ৮৬ মণ বাদাম দুই লাখ ছয় হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। খরচ বাদে তার নিট লাভ হয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, এ বছর বাদামের আবাদ ও উৎপাদন ল্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাদামের দানা পুষ্ট হয়েছে। গাছে তেমন কোনো রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ ছিল না।
চলতি মওসুমে দুই জেলার চরাঞ্চলের প্রায় ৩৫ হাজার চাষি বাদাম চাষ করেছেন। পদ্মা ও যমুনা নদীরভাঙনে জেলা দু’টোর বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করে আসছিল। চরে বাদামচাষ করে হাজার হাজার পরিবারে এখন পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে।
পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বাদাম মওসুমে পাবনা জেলার চরপেঁচাকোলা, চরআড়ালিয়া, সাঁড়াশিয়া, চরসাফুলা, চরনাগদা, চরঢালা, চরকল্যাণপুর, পূর্বশ্রীকণ্ঠদিয়া, পদ্মারচর, বাইরচর, শ্রীপুর, খিদ্রদাশুরিয়া, মুরাদপুর, বরাংগাল, ঘোড়জান এবং সিরাজগঞ্জ জেলার মেঘাইরচর, খাসকাউলিয়া, মিনারদিয়াচর, ওমরপুরচর, পয়লারচর, বানতিয়ারচর, মীরকুটিয়ারচর, রস্তুমেরচর, সোলজানারচর, দইকান্দিরচর, চরআগবাঙলা, শিমুলকান্দি, বারোপাখিয়ারচর, ধীতপুর, কুশিরচর, ভুমোরিয়া, চাঁমতারা, শিংঘুলি, নয়াহাটাবরংগাইল, ভারদিঘুলিয়া, চরবলরামপুর, চরভাড়ারা, সাদিপুর, সুদিরাজপুর, আশুতোষপুর, কোমরপুর, বীরপুর, পীরপুর, চালাকপাড়া, হঠাৎপাড়ারচরসহ ছোট-বড় ১৫০টি চরের প্রায় ৩০ হাজার একর জমিতে বাদাম চাষ হয়। উৎপাদনের ল্যমাত্র ধরা হয় সাড়ে ৫২ হাজার মেট্রিক টন। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ল্যমাত্রার চেয়ে এ বছর প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন বাদাম বেশি উৎপাদন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
বেড়ার নাকালিয়া ও নগরবাড়ীতে চরাঞ্চলের বাদামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বাদাম বিক্রির পাইকারি মোকাম এবং বাদাম কারখানা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বাদাম ব্যবসায়ীরা বাদাম কেনার জন্য নাকালিয়া ও নগরবাড়ী মোকামে আসেন। বাদাম কেনাবেচার জন্য মোকাম দু’টিতে ২০-২২টি আড়ত গড়ে উঠেছে।
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার মিনারদিয়া চরের কৃষক আহেদ আলী প্রামাণিক জানান, তিনি এ বছর দুই একর (ছয় বিঘা) জমিতে বাদাম আবাদ করেছিলেন। বীজ রোপণের পর বৃষ্টি হওয়ায় এ বছর বাদামের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। ছয় বিঘা জমির বাদাম তুলে পাওয়া গেছে ১৩০ মণ, রোদে শুকানোর পর তিনি পেয়েছেন মোট ৮৬ মণ। তিনি প্রতিমণ বাদাম ২৪০০ টাকা হিসেবে ৮৬ মণ বাদাম দুই লাখ ছয় হাজার টাকা বিক্রি করেছেন। খরচ বাদে তার নিট লাভ হয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, এ বছর বাদামের আবাদ ও উৎপাদন ল্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলায় বাদামের দানা পুষ্ট হয়েছে। গাছে তেমন কোনো রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ ছিল না।
No comments:
Post a Comment